অন-লাইনে পণ্য কেনার কারণ হিসাবে ক্রেতারা বলেছেন
>> ৪৫.৭% উত্তরদাতা মনে করেন যে, এর ফলে যানজট এড়ানো যায়।
>> ৪০.৮% মনে করেন, এর ফলে সময় বাঁচে।
>> ২৯.৯% মনে করেন, অনলাইনে অনেক পণ্যের মধ্যে একটি বেছে নেওয়া সহজ হয়।
> ২৫.২% শতাংশ বলেছেন, বাজারে গিয়ে পণ্য কিনতে যে যাতায়াত খরচ হয়, তার চেয়ে ডেলিভারি চার্জ কম পড়ে।
অসুবিধার কথাও বলেছেন ক্রেতারা
>> ৪৭.৫% উত্তরদাতা বলেছেন, অনলাইনে কেনা পণ্যের মান নিয়ে তারা সন্তুষ্ট হতে পারেননি।
>> ৪৩.৬% বলেছেন, পণ্য হাতে পেতে সময় বেশি লাগে।
>> অন-লাইনে কেনা পণ্য ফেরত দেওয়ার নীতিমালা নিয়ে সন্তুষ্ট নন ২২.৩ শতাংশ উত্তরদাতা।
> ৯.৬% উত্তরদাতা মনে করেন, মূল্য পরিশোধের পদ্ধতি এখনও যথেষ্ট ক্রেতাবান্ধব হয়নি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ কল্যাণে ডিগ্রিধারী একজন নারী অন-লাইনে মেয়েদের পোশাক বিক্রি করছেন। পাশাপাশি ঢাকার দুই প্রান্তে তার দুটি দোকানেও প্রচলিত পদ্ধতিতে পণ্য বিক্রি হয়। দুই দোকান মিলিয়ে তার কর্মচারী চারজন। আর অন-লাইনে তার সঙ্গে কাজ করেন ১৬ জন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমার দুই দোকানে দিনে যদি ৪০টি পোশাক বিক্রি হয়, অন-লাইনে হয় ১৬০টি।”
ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করেন এরকম এক নারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অন-লাইনে তো ভ্যাট বা ট্যাক্সের কোনো ঝামেলা নেই। ঘরে বসে করা যায়, তাই লাভ থাকে বেশি।”
বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সিনিয়র রিসার্চ ফোলো ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, “যারা বৈধ ব্যবসা করতে চায়, তাদের সে সুযোগ দিতে হবে, উৎসাহ যোগাতে হবে। উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে আগ্রহী করতে হবে। আর যারা বড় ব্যবসা করছে, কিন্তু ফাঁকি দিচ্ছে, তাদের ধরতে হবে।”
দেশে বড় যে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলো এখন ব্যবসা করছে, তাদের মধ্যে দারাজ অন্যতম। তারাও মনে করে, দেশে ই-কমার্সের বিকাশের স্বার্থেই একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা থাকা জরুরি।
দারাজ অনলাইন শপিং এর হেড অব পাবলিক রিলেশন্স সায়ন্তনী তিশা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নিয়ন্ত্রক সংস্থা না থাকায় অনেক সময় ই-কমার্স সংশ্লিষ্টদের দ্বিধায় পড়তে হয়- তারা কার কথা শুনবে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় না আইসিটি মন্ত্রণালয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থা থাকলে উভয়পক্ষেই স্বচ্ছতা রাখা সহজ হবে, যা ই-কমার্স শিল্পকে ভবিষ্যতে আরও জোরদার করবে।”
নিজেদের ব্যবসার অভিজ্ঞতা জানিয়ে তিশা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দারাজে ‘ক্যাশ অন ডেলিভারি’ পদ্ধতিতে দাম পরিশোধের হার প্রায় ৬০ শতাংশ। আর ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে ক্রেতা ‘প্রি-পেমেন্ট’ পদ্ধতিতে পণ্যের দাম আগাম পরিশোধ করেন।
এই ৪০ শতাংশের মধ্যে ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে ক্রেতা মূল্য পরিশোধ করেন ডেবিড বা ক্রেডিট কার্ডে। বাকি ৩০ শতাংশ হয় মোবাইল ব্যাঙ্কিংয়ের মাধ্যমে। বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের সময় প্রি-পেমেন্টের হার বাড়ে বলে জানান তিশা।